
যদিও চীন উহান শহরে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে, তবে চীনা নিষেধাজ্ঞার অধীনে তা করা সম্ভব নয়। তাদের ফিরিয়ে আনতে আরও দুই সপ্তাহ সময় লাগবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এদিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী চীন সফরে না যাওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ করেছেন। এখনও পর্যন্ত দেশে কারোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কাউকে সনাক্ত করতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন যে, নভেল করোনার ভাইরাসের অভিজ্ঞতার জন্য বর্তমানে কোনও বিশেষজ্ঞ দলকে চীনে পাঠানো হচ্ছে না।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের পর সংক্রামক ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা ও পদক্ষেপ নিয়ে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সরকারের প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বক্তব্য রেখেছিলেন।
এ সময় একজন সাংবাদিক মন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কোনো সমস্যা হলে বিশেষজ্ঞ দলকে বিদেশে পাঠানো হয়। করোনার ভাইরাস নতুন, চীন তাদের মতো করে চিকিৎসা দিচ্ছে। বাস্তব অভিজ্ঞতার উদ্দেশ্যে চীনে বাংলাদেশের কোনো টিম পাঠানোর পরিকল্পনা আছে?
এই প্রশ্নে হেসে ওঠেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মী এবং সভায় অংশ নেওয়া অন্যরা। পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে প্রয়োজন নেই, প্রয়োজনীয়তা ফিলও করিনি। এই মুহূর্তে কোনো বিশেষজ্ঞ টিম পাঠানোর প্ল্যান আমাদের নেই। প্রয়োজন হলে আমরা ভবিষ্যতে চিন্তা করব।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাণঘাতী নোভেল করোনা ভাইরাসে চীনে এ পর্যন্ত শতাধিক মানুষের মৃত্যু এবং প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ আক্রান্ত হলেও, বাংলাদেশ থেকে চীন ভ্রমনে এখনো কোন নিষেধাজ্ঞা জারি হয়নি। তবে, দেশটিতে না যেতে অনুৎসাহিত ও সতর্ক করা হচ্ছে।
One thought on “করোনা ভাইরাস : অভিজ্ঞতা নিতে এখনই কাউকে চীনে পাঠানো হচ্ছে না”
Comments are closed.