
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিশু সন্তানকে প্রথমে কালেমা শিক্ষা দেয়ার কথা বলেছেন। কোমল হৃদয়ে কালেমা শেখাতে পারলেই শিশুর জন্য হবে সার্থক ও সফল।
শিশুকে কথা বলা শেখানো কিংবা শিশুর সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সময় থাকেন প্রত্যেক শিশু সন্তানের মা। নেপোলিয়ান বলেছিলেন- আমাকে একজন ভালো মা দাও, আমি তোমাদের একটি ভালো জাতি উপহার দেবো।
শিশুদের চিন্তা-চেতনার বিকাশ সাধনে মা এর ভূমিকা অত্যধিক। কেননা শিশুরা মা এর সঙ্গেই বড় হয়। শিশুর সুশিক্ষা ও আত্মবিশ্বাসও অর্জিত হয় মা এর কাছে। প্লেটো বলেছেন- ‘মা-এর শিক্ষাই শিশুর সুন্দর ভবিষ্যতের বুনিয়াদ।’
সুতরাং শিশুকে উত্তম শিক্ষা দেয়া প্রতিটি মানুষের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য। এ ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা কোরআনুল কারিমে নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবারকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাও।’
হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা নিজ নিজ শিশুকে সর্বপ্রথম কথা শিখাবে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।’ অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই।’ (বায়হাকি, মুস্তাদরেকে হাকেম)